ব্লকফাঁসে ফেসবুক
দ্রুত ডিজিটাল বির্নিমাণে দেশ!

Digital Fun
……আশিস বিশ্বাস
ঢাকা: ফেসবুক বন্ধ করায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তথ্যপ্রযুক্তিতে কতখানি দক্ষ হয়েছেন জানিনা; তবে সাধারণ মানুষ দারুণভাবে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উঠেছেন। যারা আগে ভিপিএন (VPN- Virtual Proxy Network)-এর নামও শোনেননি, তারাও এখন এ সব ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ, কুশলবিনিময়সহ তথ্যের (খবর) জানান দিচ্ছেন। এতে করে তারা আরো বেশি দক্ষ হয়ে উঠবেন নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে। এরপর চেষ্টা করবেন কত পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো যায়! এর সুবিধা হচ্ছে, আমাদের দেশ আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে।
সাধারণ মানুষ নিজেরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হয়ে ওঠায়, তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত পণ্যের চাহিদাও বাড়বে। বিশেষত, আরো উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন স্মার্টফোন, ওয়াইফাই রাউটার (দ্রতগতির ইন্টারনেট মিনি-টাওয়ার, যা ওয়াইম্যাক্স ও ওয়াইফাই সম্পন্ন উন্নত ডিজিটাল ডিভাইস), বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে।
এছাড়া দ্বিমুখী ব্যবহারের ডিভাইস (ওয়াকিটকি) ‘হ্যাম রেডিও’সহ নানান বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠবেন।
ওয়াইফাই ডিভাইস ব্যবহার করে যেখানে-সেখানে বসে স্যাটেলাইট টিভি – বিবিসি, সিএনএন, ফ্রান্স২৪, সিসিটিভি, আল-জাজিরা, এনএইচকে, আরটি, এনডিটিভিসহ আরো অনেক বিদেশি টিভির নিউজ ক্যাপচার করবেন মাত্র একটি একটি অ্যাপ দিয়ে। তারপর তা সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেবেন সেই একটি অ্যাপ দিয়েই। এই সহজ অ্যাপটির নাম- OnAir World News।
কেউ কেউ হয়ত প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে সীমিত আকারে ব্যবহৃত স্যাটেলাইট থেকে সরবরাহ করা অত্যন্ত দ্রুতগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ‘ইন্ট্রানেট’ ব্যবহার করবেন। দেশ আরো ডিজিটাল হবে।

Intranet
তবে সাংবাদিকদের খবর জানতে ফেসবুকে যেতে বিকল্প পথে যেতেই হবে। কারণ, বিভিন্ন নিউজ সাইটে না গিয়ে শুধুমাত্র ফেসবুকে কিংবা টুইটারে লগইন থাকলেই তাদের কাঙ্ক্ষিত নিউজটি পেয়ে যান বলে। আর যারা তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন, তারা তো আরো এক ধাপ এগিয়েই থাকেন।
তবে সরকারি লোকজন যেখানে ছিলেন সেখানেই থাকবেন। ডিজিটাল আসলে সরকারি লোকজন করবে না। করবে সাধারণ মানুষই। কারণ, মাস শেষে তাদের বেতন আর প্রতিদিন ‘স্যার’ ‘স্যার’ সম্বোধন শুনে ঘরে ফিরতে পারলেই হলো। দেশ ডিজিটাল হলো কী হলো না, তাতে তাদের যায়-আসে না। দেশকে ডিজিটাল করবেন আসলে সাধারণ মানুষই, তাদের উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে।
ইতোমধ্যে, দেশে ফেসবুকের আদলে http://www.bijoybook.com (বিজয়বুক) নামে একটি সামাজিক সাইট গড়ে তুলেছেন বিজয় দত্ত নামে এক তরুণ। ইন্টারনেট ঘেঁটে ঘেঁটে তিনি নিজেই এখন প্রযুক্তিবিদ। গুগলের হয়ে কিছু কাজও করছেন তিনি।
তার দাবি, বিজয়বুকে ইতোমধ্যে ৬০ হাজার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ফেসবুকের মতো সব সুবিধাই আছে এতে। তাহলে…!! মানুষকে কি আর ঠেকানো যায়…! মনে রাখতে হবে, অপরাধীরা পুলিশের চেয়ে আরো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তা না হলে অপরাধকর্ম চালাতে পারতো না। তাই, ব্লক বা বন্ধ করে নয়, আরো উন্নত প্রযুক্তি এবং দক্ষ মানবসম্পদ দরকার…!!

Facebook cover page
জয়তু প্রযুক্তি, জয়তু জনগণ…!
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫